যেন কৃষ্ণচূড়া গায়ে চাপিয়ে হাজির হলেন বাঁধন

দুবছর পর অনুষ্ঠিত হলো মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার। করোনাকালের স্থবিরতা কাটিয়ে এবারের আয়োজন সব দিক থেকেই আলাদা। লালগালিচায় তারকারা গ্ল্যামারের কোনো কমতি রাখেননি। দেখে নেওয়া যাক আজমেরি হক বাঁধনের সাজ-পোশাক।

ছবি: খালেদ সরকার

কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচার মতো এবারও বাঁধন দেখা দিয়েছেন অপূর্ব এক জামদানিতে। যা অন্য সমস্ত জামদানি থেকে আলাদা। কেন? জামদানিটি দুই নারীর দেশি পোশাকের ব্র্যান্ড ‘নোবো’র ‘ওয়াক ইন দ্য পার্ক’ কালেকশনের।

করোনাকালে অনেকেরই বিষণ্নতা বিলীন হয়েছে পার্কের সবুজে শ্বাস নিয়ে। সেই পার্কের রাস্তায় হয়তো আলগোছে পরে ছিল কৃষ্ণচূড়া। মাটির রাস্তায় পরে থাকা কমলা–হলুদ কৃষ্ণচূড়া থেকে অনুপ্রাণিত বাঁধনের শাড়ির জমিন। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চুলে গুঁজেছেন কৃষ্ণচূড়া।

নিজের মেকআপ নিজেই করেন বাঁধন। মেরিল–প্রথম আলোর লালগালিচায়ও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ কানের দুলও নজর কেড়েছে আলাদাভাবে। সেটি নিয়েছেন অ্যাডর্ন অ্যান্ড কো. থেকে। কপালে ক্যারট–অরেঞ্জ–রঙা টিপ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃতি আর বুননশিল্পের ঐতিহ্যকে গায়ে চাপিয়ে বাঁধন দেখা দিয়েছেন বাঙালি কন্যারূপে। মেরিল–প্রথম আলোর লালগালিচায় নিজের কন্যা সায়রাকে আনতে ভোলেননি তিনি।