হলমার্ক ছাড়া সোনার অলংকার বিক্রি করা যাবে না

হলমার্ক ছাড়া সোনার অলংকার বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। হলমার্ক হলো খাঁটি সোনার অলংকার শনাক্তকরণের বিশেষ চিহ্ন। অলংকারের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে এটা ব্যবহৃত হয়।  

আজ বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাজুস আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন, ‘দেশে সোনার মান নিয়ন্ত্রণে যেসব পরীক্ষাগার আছে, তার আরও উন্নতি জরুরি। এসব পরীক্ষাগার আধুনিকায়ন করতে হবে। হলমার্ক ছাড়া সোনার অলংকার বিক্রি করা যাবে না।’

বাজুসের পক্ষ থেকে একটি তদারকি দল গঠনের পরামর্শ দিয়ে সংগঠনটির সাবেক আরেকজন সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যারা নিম্ন মানের সোনার অলংকার বিক্রি করছে, তাদের ওপর নজরদারি করতে হবে। এ ছাড়া সোনার মানোন্নয়নে আলাদা তদারকি দল গঠন করতে হবে।

দেশের সব জুয়েলারিতে সর্বোচ্চ মানের অলংকার বিক্রি করতে হবে উল্লেখ করে সংগঠনটির অন্য একজন সাবেক সভাপতি দিলীপ কুমার রায় বলেন, যেকোনো মূল্যে সোনার মান ঠিক করতে হবে। অলংকার ক্রেতাদের ঠকানো যাবে না।

সংগঠনটির স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান বলেন, ‘এখন থেকে কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া সোনার অলংকার বিক্রি করবেন না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের সোনার অলংকার ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদের মান যাচাই করে সোনার অলংকার কেনার অনুরোধ করছি। এই খাতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করবে বাজুস।’

বাজুসের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান নিম্ন মানের সোনার অলংকার বিক্রি করে, তাদের আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বাজারে সোনার অলংকারের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে।’

কোনো চোরাকারবারির দায়িত্ব বাজুস নেবে না উল্লেখ করে বাজুসের আরেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেনও নিম্ন মানের সোনার অলংকার তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাজুসের সহসভাপতি বাদল চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, সহসম্পাদক সমিত ঘোষ, জয়নাল আবেদিন খোকন ও লিটন হাওলাদার।

এ সময় বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, সদস্যসচিব ইকবাল উদ্দিন, সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ ও রিপনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।