এয়ার বাবল চুক্তিতে বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট চালু

প্রতীকী ছবি

এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে আজ রোববার সকালে। দেশের দুটি এয়ারলাইনস আজ ভারতে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ প্রথম আলোকে জানিয়েছে, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-কলকাতা গন্তব্যে বিমানের একটি ফ্লাইট ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়।

একই ফ্লাইটের আবার ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরার নির্ধারিত শিডিউল আছে।
এ ছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ভারতে গেছে। সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ ঢাকা-চেন্নাই গন্তব্যে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যায়। এখন থেকে সপ্তাহের তিন দিন রবি, বুধ ও শুক্রবার চেন্নাই গন্তব্যে ফ্লাইট চালাবে সংস্থাটি।

গত ২৮ আগস্ট ভারতীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) দেওয়া এক চিঠিতে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চলাচলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচক গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে পাল্টা এক চিঠিতে জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফেয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে পারে।

দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত এই চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চলাচল করবে। এয়ার বাবল চুক্তি হচ্ছে, এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট। এর মধ্যে কোনো ট্রানজিট থাকবে না।

এর আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) দেওয়া এক চিঠিতে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট চলাচলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচক গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে পারে।

গতকাল শনিবার বেবিচক এ–সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। তাতে বলা হয়, বেবিচক জানিয়েছে, ভারত থেকে আসা যাত্রীরা বিজনেস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। আসার পর তাঁদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত তাদের তিনটি এয়ারলাইনসকে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে প্রতি সপ্তাহে স্পাইস জেট তিনটি এবং ইনডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এ সময় ভারত থেকে যাঁরা বাংলাদেশে যাবেন, তাঁদের বাংলাদেশ সরকার–নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে।

আর যাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারত যাবেন, তাঁদের ভারতীয় বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর নিজ খরচে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। তবে এই সময়ে ভ্রমণ ভিসাধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

ভারত থেকে কেউ আসতে চাইলে বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশে আসতে পারবেন। বাংলাদেশে আসার পর তাঁদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে হলে যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার পরীক্ষা করে নিতে হবে। আবার ভারতের বিমানবন্দরে নেমে যাত্রীকে নিজ খরচে করোনার পরীক্ষা করতে হবে।