দেশের বাজারেও কমবে ভোজ্যতেলের দাম

টিপু মুনশি

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমছে। এখন দেশের বাজারেও তা কমবে। মে মাসের তথ্য নিয়ে আগামী ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে পর্যালোচনা করা হবে।

সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘দ্বিতীয় চা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা বলেন। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় এবং ইন্দোনেশিয়া রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় সরকার ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, আজকে দাম কমেছে। তবে এ দামের প্রভাব দেশের বাজারে পড়তে সময় লাগবে এক থেকে দেড় মাস।’

টিপু মুনশি আরও বলেন, সুখবর হচ্ছে পাম তেলের দাম কমেছে। লক্ষ করা যাচ্ছে, সয়াবিনের দামও কমার দিকে। আমরা ধারণা, দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮২ থেকে ১৯০ টাকা, বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৯৭৫ থেকে ৯৯০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। আর পাম তেলের দাম ছিল লিটার প্রতি ১৬৫ থেকে ১৭২ টাকা এবং পাম সুপার বিক্রি হয় প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়।

দেশে সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের দেশগুলোর মতো বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, দেশের তিন কোটি মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে। তাঁদের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, আপনারাও জানেন। দেখা দরকার সাধারণ মানুষ সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারছেন কি না।

চালের দাম নিয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা খাদ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। তবে দেশে চালের অভাব নেই, যা দরকার তা আছে। কোথাও কোথাও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘আমার একটা সহজ প্রশ্ন আছে। যে চালটা ৫০ টাকার, সেটা শুধু প্যাকেট করে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই প্যাকেটের গ্রাহকও আছে। সাধারণ মানুষ এখন মোটা চাল খেতে চায় না। মোটা চালের ক্রেতা নেই বলেই তা চিকন করা হচ্ছে।’

কাল চা দিবস

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আগামীকাল শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা দিবস উদ্‌যাপন করা হবে বলে জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, চা–মেলার আয়োজন রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

দেশে এখন ১৬৭টি বৃহৎ চা–বাগান এবং আট হাজারের বেশি ক্ষুদ্রায়তনের চা–বাগান রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালে দেশে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় চায়ের ব্যবহার বেড়েছে। তাই রপ্তানি করা যাচ্ছে না।