সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করায় কারাগার থেকে বেরিয়ে বন্ধুকে খুন

নিহত রাকিব হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

দস্যুতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান নাটোরের যুবক রাসেল হোসেন। কারাবন্দি অবস্থায় রাসেলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটনান স্ত্রী লাবণ্য সিদ্দিকা। এরপর লাবণ্য বিয়ে করেন রাসেলের বন্ধু রাকিব হোসেনকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার এক দিন পরই বন্ধু রাকিবকে খুন করেন রাসেল।

নাটোরে রাকিব হত্যার ঘটনায় রাসেলকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারের দুই মাস পর ৩১ মে রাসেল জামিনে মুক্ত হন। এর এক দিন পরই তিনি রাকিবকে খুন করে পালিয়ে যান। গতকাল সোমবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে সিআইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিআইডি।

রাসেল হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, ১ জুন দুপুরে নাটোরের সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পদচারী–সেতুর ওপর রাকিব হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন তাঁর বন্ধু রাসেল হোসেন। রাকিবকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাসেল হোসেনকে প্রধান আসামি করে শান্তাহার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন রাকিবের বড় ভাই শাকিল হোসেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তা ধর বলেন, প্রায় সাত বছর আগে লাবণ্য সিদ্দিকাকে বিয়ে করেন রাসেল। তাঁদের সংসারে পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। গত ২৩ মার্চ দস্যুতার ঘটনায় নাটোর সদর থানা–পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাসেলের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, চুরি, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য ধারায় মোট ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা তদন্তাধীন। অন্য ১২টি মামলা আদালতে বিচারাধীন।