ই-কমার্স: ধামাকা শপিংয়ের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)

ছবির উৎস, Dhamaka.com

ছবির ক্যাপশান, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ধামাকা শপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও রয়েছেন।

গত ২৬শে সেপ্টেম্বর ১১ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগে ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গি পশ্চিম থানায় মামলা করেন শামীম খান নামের একজন ব্যবসায়ী।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন যে, ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে, এমন প্রতিশ্রুতিতে তিনি ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দিয়েছিলেন। এরপর তাকে টাকা ফেরতের চেক দেয়া হলেও একাউন্টে কোন টাকা ছিল না। পরবর্তীতে তিনি অফিসে গিয়ে সেটি বন্ধ দেখতে পান।

এর আগে আরেকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন একজন গ্রাহক। এরপর সেই প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সব ধরনের পণ্যই এখন বাংলাদেশে অনলাইনে কেনা-বেচা হয়।

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান, সব ধরনের পণ্যই এখন বাংলাদেশে অনলাইনে কেনা-বেচা হয়।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা বা ই-কমার্স ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর গোটা খাতটি এখন ভুগছে আস্থার সংকটে।

সম্প্রতি খুব অল্প সময়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।

ই-কমার্স খাতে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা ও প্রতারণা ঠেকাতে একটি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, ''দেশের ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে একটি রেগুলেটরি কমিশন গঠন করা হবে।''

''ডিজিটাল প্রতারণা হলে যেন বিচার করা যায়, সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে কিছু সংশোধন আনতে হবে। সেই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।''

''প্রতিটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া ই-কমার্স ব্যবসা করা যাবে না।''

ইভ্যালির মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ছবির উৎস, EVALY.COM.BD

ছবির ক্যাপশান, ইভ্যালির মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইভ্যালির মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাণিজ্যমন্ত্রী ধারণা করছেন, এই প্রতিষ্ঠানটির আর গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ দেয়ার সক্ষমতা নেই।

সেক্ষেত্রে সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বিবিসিকে বলেন, ''সরকার তো টাকা নেয়নি। সরকার তো সেই লাভের অংশ নেয়নি। তবে দায় এড়াতে চাচ্ছি না বলেই তো সভাগুলো আমরা করছি। দায় নিয়েই আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে কী করা যায়।''

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: