‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা, চিকিৎসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিলেন এক করোনা রোগী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ক ইউনিটের এই পরীক্ষা হয়।

এবারই প্রথম ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এবার পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভিড় ছিল অন্যবারের চেয়ে কম। ১ হাজার ৮১৫ আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৭ জন শিক্ষার্থী এবার ক ইউনিটে আবেদন করেছিলেন।

করোনায় আক্রান্ত এক পরীক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁর পরীক্ষা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, জেলা-উপজেলা সংগঠন আজ সকাল থেকেই নানা উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রস্তুত ছিল৷ শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে ছিলেন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবকেরাও।

পরীক্ষার শুরু থেকেই ঢাকার কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামালসহ কর্তৃপক্ষের পদস্থ ব্যক্তিরা। কার্জন হলের কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত সুন্দর এবং সুষ্ঠু পরিবেশে হচ্ছে। সবার সহযোগিতার জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

ক ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন মিহির লাল সাহা প্রথম আলোকে বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর ছাড়াই ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

করোনা শনাক্ত হওয়ায় আলাদাভাবে পরীক্ষা দিতে তিন দিন আগে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয়ে আবেদন করেন একজন পরীক্ষার্থী। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসাকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা সারওয়ার জাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বিশেষ ব্যবস্থায় নেওয়া হয়েছে। একজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়, আমরাও সহযোগিতা করেছি। পরীক্ষার দেড় ঘণ্টা সময় আমরা ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করি। ওই শিক্ষার্থীর হাতে হ্যান্ড গ্লাভস ছিল। পরীক্ষা শেষে পলিথিনে মুড়িয়ে উত্তরপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি অন্তত পাঁচ দিন পর খাতাটি খুলতে।’