কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলার সময় আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে মারা গেছেন
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সময় ইটের আঘাতে আহত দিলীপ কুমার দাস (৫৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। ১৩ অক্টোবর তিনি মনোহরপুর এলাকার রাজ রাজেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দিরের ফটক বন্ধ করতে গিয়ে ইটের আঘাতে আহত হন।
দিলীপের বাসা কুমিল্লা নগরের কোতোয়ালি থানার ফটকের উল্টোদিকে পানপট্টি এলাকায়। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা বিষু লালদাসের ছেলে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
কুমিল্লা মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু জানান, ১৩ অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লা নগরের নানুয়াদীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপ থেকে কোরআন শরিফ উদ্ধারের পর উত্তেজিত কিছু তরুণ নগরের মনোহরপুর এলাকার রাজ রাজেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দিরে পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় মন্দিরে। তখন মন্দিরে পূজা অর্চনায় ছিলেন দিলীপ কুমার দাস। একপর্যায়ে তিনি পূজা অর্চনা রেখে মন্দিরের প্রধান ফটক বন্ধ করতে যান। তখন মিছিল থেকে ইটের টুকরা তাঁর কপাল ও মাথায় পড়ে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তিনি মারা যান।
দিলীপ কুমার দাসের ভাতিজা শান্ত কুমার দাস জানান, দুই দফা অস্ত্রোপচারের পরও তাঁর চাচাকে বাঁচানো যায়নি। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়। এখনো লাশ কুমিল্লায় আনা হয়নি। বিকেলের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে আনার কথা। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম বলেন, ‘ঢাকায় একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।’