কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিনের পথে আবারও চলছে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস
কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌপথে আবারও সরাসরি যাত্রা শুরু করেছে দেশের প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজ এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। গত শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। বেলা একটায় সেন্ট মার্টিন পৌঁছায় জাহাজটি। সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর বেলা সাড়ে তিনটায় কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজ।
গত বছরের ৩০ জানুয়ারি এক জমকালো আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই নৌরুটের।
পর্যটন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের দাবি দীর্ঘদিনের। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের উদ্যোগ ও পরিচালনায় অবশেষে এই দাবি পূরণ হয়। ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাসটার্মিনাল থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এই প্রতিষ্ঠানের আরেক বিলাসবহুল ক্রুজশিপ ‘এমভি বেওয়ান’। চলতি পর্যটন মৌসুমে চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিনের মধ্যে নিয়মিত চলাচল করবে এই জাহাজ। চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন নৌ-রুটেও সমুদ্রগামী বিলাসবহুল কোনো জাহাজের যাতায়াত এটাই প্রথম।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্ট মার্টিন সমুদ্রভ্রমণে বিলাসবহুল জাহাজ চালুর উদ্যোক্তা প্রকৌশলী এম এ রশিদ বলেন, এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসকে নিজস্ব ডকইয়ার্ডে একটি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জাহাজ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৫৫ মিটার লম্বা ও ১১ মিটার প্রশস্ত এই নৌযানে মেইন প্রপালেশন ইঞ্জিন দুটি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কামিন্স ব্র্যান্ডের এই ইঞ্জিনের একেকটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি করে। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। ১৭টি ভিআইপি কেবিনসমৃদ্ধ এটি। নৌযানটিতে তিন ক্যাটাগরির প্রায় ৫০০ আসন রয়েছে। রয়েছে কনফারেন্স রুম, ডাইনিং স্পেস, সি ভিউ ব্যালকনিসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।