ভারতের আওরাঙ্গাবাদে অন্তঃসত্ত্বা বোনকে শিরশ্ছেদ করে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক কিশোর

অন্তঃসত্ত্বা বড় বোনকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছে এই সন্দেহে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুলিশ এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী পরিবারের অমতে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিল।
তরুণী যখন ভাই ও তার মায়ের জন্য চা বানাচ্ছিল, তখন কাস্তে নিয়ে তার ওপর হামলা করা হয়। ওই কিশোর এবং তরুণীর মা পুলিশের কাছে নিজেরাই ধরা দিয়েছে।
পুলিশ সন্দেহ করছে কিশোর ও তার মা মাথা কাটা তরুণীর সাথে একটি সেলফিও তুলেছে।
কিশোরের বয়স ১৮-র নিচে বলে তার আইনজীবী জানানোর পর তাকে কিশোরদের জন্য একটি রিমান্ড হোমে পাঠানো হয়েছে। তবে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তারা আদালতে এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করবেন, কারণ তাদের হাতে একটি সনদপত্র এসেছে, যেটা থেকে দেখা যাচ্ছে সে প্রাপ্তবয়স্ক।
তাদের মাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন:

বিবিসির মারাঠি বিভাগ জানাচ্ছে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের আওরাঙ্গাবাদ জেলায়।
নিহত তরুণীর যে পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাতে পরিবারের অমত থাকায়, ওই তরুণী জুন মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে তার প্রেমিককে বিয়ে করেন। ওই তরুণ একই জাতের হলেও পরিবারের আপত্তির কারণ ছিল ছেলেটির পরিবার তাদের থেকেও বেশি দরিদ্র।
বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:

ছবির উৎস, Akshay Jain / EyeEm
বিয়ের পর তরুণী তার পরিবারের সাথে বিশেষ যোগাযোগ রাখত না, কিন্তু হত্যার ঘটনার এক সপ্তাহ আগে তরুণীর মা মেয়ের সাথে দেখা করতে যান। পুলিশ বলছে তার মা জানতে পারেন তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।
অধিকার কর্মীরা বলছেন ভারতে পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রেম বা বিয়ে করার কারণে প্রতি বছর শত শত হত্যার ঘটনা ঘটে।
এধরনের হত্যাকে প্রায়ই আখ্যা দেয়া হয় "অনার কিলিং" বা পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যা বলে। ভারতীয় সমাজের নানা স্তরে এই পারিবারিক সম্মান এবং চিরাচরিত প্রথার শিকড় গভীরভাবে প্রোথিত হয়ে রয়েছে।
মার্চ মাসে ভারতে উত্তর প্রদেশের পুলিশ মেয়ের শিরশ্ছেদ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ওই ব্যক্তির একটি ভিডিও প্রকাশ করে যেখানে তাকে বলতে শোনা যায় যে তার মেয়ে এমন একজনের সাথে প্রেম করছিল যে প্রেম পরিবার সমর্থন করেনি। সে কারণেই তিনি তাকে হত্যা করেছেন।