দোকানি ছাড়াই মেয়েরা কিনতে পারবেন স্যানিটারি ন্যাপকিন
মেশিনের মধ্যে ১০ টাকার একটি নোট দিলেই মেয়েরা পেয়ে যাবেন একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন। কত টাকা মেশিনে দেওয়া হলো, সেটা যাচাই মেশিনই করবে। আবার মেশিনের ন্যাপকিন শেষ হয়ে এলে দেবে সংকেত।
এক মেশিনে ২০০ থেকে ২ হাজার পর্যন্ত ন্যাপকিন রাখা যাবে। যেখান থেকে মেয়েরা কোনো প্রকার দ্বিধা ছাড়াই কিনতে পারবেন স্যানিটারি ন্যাপকিন। এমন ভেন্ডিং মেশিন তৈরি করেছেন ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী, যা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
ওই শিক্ষার্থী দলের প্রধান হৃদয় হোসেন বলেন, দেশের মেয়েরা প্রায়ই স্যানিটারি প্যাড দোকান থেকে কিনতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। অনেক সময় বখাটেদের উত্ত্যক্ত ও নিপীড়নের শিকার হন। যে কারণে অনেক মেয়ে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন না। ফলে মেয়েদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁরা তৈরি করেছেন ‘আইওটি বেসড স্মার্ট ভেন্ডিং মেশিন ফর স্যানিটারি প্যাড’। এই মেশিনের সাহায্যে একজন মেয়ে খুব সহজেই প্রয়োজনমতো প্যাড সংগ্রহ করতে পারবেন। প্যাড সংগ্রহ করার জন্য গ্রাহককে তাঁর নিকটস্থ মেশিনের ভেতরে ১০ টাকার একটি নোট দিতে হবে, যার বিনিময়ে খুব সহজে তিনি একটি স্যানিটারি প্যাড পেয়ে যাবেন। এভাবে দোকানি ছাড়াই মেয়েরা প্যাড সংগ্রহ করতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের একজন শারমিন আক্তার। তিনি বলেন, মেশিনের ভেতরে রাখা প্যাড ফুরিয়ে গেলে মেশিন খুদে বার্তার মাধ্যমে তাঁদের জানিয়ে দেবে। তখন নিয়ন্ত্রণকারী আবারও মেশিনে প্যাড দিয়ে আসবেন। এতে দোকানি বা ব্যবহারকারী কাউকে বাড়তি সময় দিতে হবে না।
হৃদয় হোসেনের ভাষ্য, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাতজন শিক্ষার্থীর একটি দল এই মেশিন তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে মেশিনটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
দলের অপর সদস্য বোখতিয়ার আহম্মেদ বলেন, মেয়েরা খুব সহজে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে মেশিন কোন কোন স্থানে আছে, তা দেখতে পারবেন এবং মেশিনের গায়ে লাগানো কোড স্ক্যান করে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করেও প্যাড ক্রয় করতে পারবেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে অটোমেটিক হাউস ক্লিনার অ্যান্ড লাইফ সেফটি রোবট ও কৃষিভিত্তিক ‘স্মার্ট অ্যাগ্রো রোবট’ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. সাজেদ-উর-রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ‘আইওটি বেসড স্মার্ট ভেন্ডিং মেশিন ফর স্যানিটারি প্যাড’ উদ্ভাবনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। তাঁরা প্রকল্পটির সফলতা কামনা করছেন।