রাজধানীর গুলিস্তানে যে বাসের ধাক্কায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই বাসটি চালাচ্ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। পল্টন থানার ওই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এমাদুল হককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে গুলিস্তানের আহাদ পুলিশ বক্সের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও দুজন পথচারী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রাবণ পরিবহনের ওই বাসটি প্রথমে গুলিস্তান সংলগ্ন কাপ্তান বাজারের সামনে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে ধাক্কা দেয়। এরপরে চালক ও তাঁর সহকারী বাসটি ফেলে পালিয়ে যায়। তখন বাসটি রাস্তায় পড়ে থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় সহকারী উপপরিদর্শক এমাদুল হক নিজেই চালকের আসনে বসে বাসটি অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাসটি আহাদ পুলিশ বক্সের কাছে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে যায়। এতে বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন চারজন পথচারী।
পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুক্কুর মাহমুদ (রুবেল) ও রাইসুল কবির (তুষার) নামে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃত শুক্কুর মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী, আর রাইসুল কবির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
শুক্কুর মাহমুদের স্ত্রী হাসিনা বেগম (কেয়া) প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন। আড়াই মাস আগে দেশে ফেরেন তিনি। শুক্কুর মাহমুদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি হলেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূইগড়ে বাড়ি করেছেন তিনি।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আব্দুল আহাদ প্রথম আলোকে বলেন, শ্রাবণ পরিবহনের বাসের ধাক্কায় আহত পুলিশ কনস্টেবল নাসিরউদ্দিনকে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর দুর্ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এমাদুল হককে আটক করেছে পুলিশ। শ্রাবণ পরিবহন নামের বাসটি গুলিস্তান-কাঁচপুর-মদনপুর রুটের।
কনস্টেবল নাসিরউদ্দিন কোতোয়ালি থানার নয়া সড়ক পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত। এর আগে গত মঙ্গলবার বিমানবন্দর সড়কে হোটেল লা মেরিডিয়ানের কাছে এনা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে যায়। এ সময় রাস্তার বিপরীত পাশে থাকা মাইক্রোবাসের সামনের অংশে উঠে যায় বাসটি। এতে মাইক্রোবাসের চালক সামান্য আহত হন।