চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি একটি কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বাতাসে ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন একজন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী।
‘ফরহাদ, আমার সারা গায়ে আগুন; আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও’—সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর ফোন করে এভাবেই চাচাতো ভাই ফরহাদের কাছে বাঁচার শেষ আকুতি জানিয়েছিলেন মোমিনুল হক।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষের কাউকে পাচ্ছি না।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভ করা তরুণ অলিউর রহমানের (২০) ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরের সামনে মো. ফরহাদ বুকফাটা আর্তনাদ করে যাচ্ছিলেন দিবাগত রাত ১২টার আগে থেকে। প্রথমে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয় মবিনুলকে।
বারবার বিস্ফোরণের কারণে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। এ কারণে রাত ৯টা থেকে এখনো আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একদিক থেকে অন্যদিকে ছোটাছুটি করছেন অন্তত ২০ জন। অ্যাম্বুলেন্সে কোনো আহত ব্যক্তি বা কারও মরদেহ এলেই তাঁরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।