প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। আগামী ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।
পদ্মাসেতুর ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায় জানতে চেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বাড়তি ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহনের রাজধানী এড়িয়ে পদ্মা সেতুতে যাওয়ার পথ নেই। গাবতলী টার্মিনাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের কোনো বাস আরিচা ঘাটের বদলে পদ্মা সেতু হয়ে যেতে চাইলে একই অবস্থায় পড়তে হবে।
পদ্মা সেতু এড়িয়ে শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথ ফেরি চলাচলের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার এখন থেকে সেতুর পরিবর্তে টানেলের দিকে জোর দিচ্ছে। এত ব্রিজ করার দরকার কী?।
বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২০২২ সালের জুনে চালু করা হবে বলে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সেতুর মূল কাঠামোর ৪১টি স্প্যানের শেষ স্প্যানটি বসানোর কাজ সম্পন্ন হওয়ায় ওই দিন সারা দেশে উৎসবমুখর আমেজ তৈরি হয়।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত ৭১ শতাংশ ও ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।