আফগানিস্তানে তালেবান–ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভাকে ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বেশ কিছুদিন ধরেই তালেবান নেতারা এসব কথা বলে আসছিলেন: "আমরা এমন একটি সরকার গঠন করার চেষ্টা করছি যাতে আফগানিস্তানের সকল জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকে," বলেছিলেন তালেবান নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার।
আফগানিস্তানে প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত ছিলেন রয়া রাহমানি। গত জুলাইয়ে তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
আফগানিস্তানে নারীদের বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তালেবানের হাতে বেদম মারধরের শিকার হয়েছেন দেশটির একাধিক সাংবাদিক।
জাতিসংঘ তালেবানের অধীনে নারী-অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ইসলামের আলোকে তারা নারীদের সম্মান জানাবে।
তালেবানের কাবুল দখলের মুখে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেছিলেন, তিনি মরণপণ যুদ্ধ করবেন। এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আফগানিস্তানে তালেবানের নতুন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে, সেই মন্ত্রিসভায় কোনো নারী নেই। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন আফগান নারীরা।
এবছরের মে মাসের শুরুর দিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো যখন আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কাজ শুরু করে, তালেবান তখনই আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর ওপর সামরিক আক্রমণ জোরদার করতে শুরু করে।