রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখন বেঁচে থাকলে মোটেই লিখতেন না যে, ‘যা কিছু হারায়, গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর!’ বরং তিনি লিখতেন, ‘যা কিছু ঘটে, পুলিশ বলে কেষ্টনি বেটিই চোর’।
টানা চার দিন ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি পেয়ে অনেকটা গোপনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরেছেন কক্সবাজারে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী ও তাঁর স্বামী-সন্তান।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত আট মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তানসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যান ওই নারী।
কয়েক দিনের ছুটি মিললেই কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সারা দেশ থেকে ছুটে আসেন লাখ লাখ পর্যটক। এর মধ্যে অহরহ ঘটে চলেছে চুরি-ছিনতাই, হত্যাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড।
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ এবং তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজারে স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে জিন্মি করে হত্যার হুমকি দিয়ে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাতে সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আজ বৃহস্পতিবার তিনজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে র্যাব-১৫। এই তিনজনকে আটক করতে অভিযান চলছে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে এক গৃহবধূ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর পেয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে র্যাব।