মেসি

ম্যাচটার কথা মনে পড়লে এখনো আর্জেন্টাইন ভক্তদের রোমাঞ্চে গায়ে কাঁটা দেওয়ার কথা।

আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকার জয়ের বছর গড়াতে চলল। কিন্তু এই দুই শিরোপা নিয়ে আর্জেন্টাইনদের উচ্ছ্বাস যেন শেষই হচ্ছে না।

পাঁচ বছর আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেই দৃশ্যটা নিশ্চয়ই মনে আছে বার্সেলোনার সমর্থকদের।

এ তো দেখা যাচ্ছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া না–যাওয়ার মতোই আরেক নাটকে রূপ নিচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদ আর মার্শেইয়ের প্রতি ‘জিজু’র টানকেও তাঁর পিএসজিতে যাওয়ার পথে বড় বাধা বলে মনে করা হয়।

এ কথা বহুজন বহুবার বলেছেন, কোনো নতুনত্ব নেই। নতুন করে বললেন হুলিয়ান আলভারেজ।

আর যা-ই হোক না হোক, কাতার বিশ্বকাপই যে লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত। সে পথে এবার কি আত্মবিশ্বাসের জোরও একটু বেশি আর্জেন্টিনার?।

পরশু রাতে ‘লা ফিনালিসিমা’য় ইতালির মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা।

একটা ছবি, লিওনেল মেসিকে ঘিরে ধরেছেন জর্জো কিয়েল্লিনিসহ ইতালির চারজন খেলোয়াড়। ম্যাচজুড়ে এমন অনেক ছবিই রচিত হয়েছে।

মাত্র এক বছর আগেই ইউরোর শিরোপা কী দাপটের সঙ্গেই না জিতে নিয়েছিল ইতালি। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই থাকতে পারত ইতালি।

লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জন্য গত বছরের ১০ জুলাই তারিখটি ছিল সোনালি হরফে লিখে রাখার মতো। আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে শিরোপা–খরা কেটেছে মেসির।

সন্দেহ অনেকেরই নেই।

এমবাপ্পে-কাণ্ডের কারণে ব্যাপারটা একটু আড়ালে পড়ে গিয়েছে।

‘সেরা দল অনেক সময় শিরোপা জেতে না’—লিওনেল মেসির কথা এটি। কথাটা তিনি বলেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে।

নম্র ও বিনয়ী জীবনযাপন।

ব্যালন ডি’অর জিতে যেন স্বস্তিতে নেই লিওনেল মেসি। সমালোচনার ঝড় সইতে হচ্ছে তাকে।

ব্যালন ডি’ অরের লাল গালিচায় স্ত্রী আন্তোনেল্লে রোকুজ্জো আর তিন ছেলেকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব পিএসজির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদোকে পেছনে ফেলে দিলেন লিওনেল মেসি। আর তাই তো মেসির সপ্তম ব্যালন ডি’অর জয়ের পর মেসিকে ইমোতে ভিডিও কল দিয়ে রোনালদো শোনালেন, ‘আগে গেলে বাঘে খায়, পিছে গেলে টাকা পায়’!।

হুট করে চোখ পড়লে দেখতে একটু অদ্ভুতই লাগে।

মেসি তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়টি উজ্জ্বল করে রাখার জন্য ফ্রেঞ্চ লীগের পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন, এটা সবাই কমবেশি জেনে গেছেন। বিশেষ করে ফ্রান্সের ফুটবল ও প্যারিসের শিল্পকলার ইতিহাসে কোথায় যেন মিল পাওয়া যায়।