তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো সাংসদ মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
দিলশাদ আরা (ছদ্মনাম) একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় উচ্চ পদে কাজ করেন। উদ্দেশ্য ছিল তাঁর প্রতিষ্ঠানটির আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো।
মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানোর পর দেশ ছেড়ে কানাডায় যেতে চেয়েছিলেন মুরাদ হাসান। কিন্তু কানাডায় ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে তিন দিনের মাথায় আবার দেশেই ফিরতে হয়েছে।
নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো সাংসদ মুরাদ হাসানের অবস্থান নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়, তার তো অধিকার রয়েছে মামলা করার। এটা তো ব্যাপার নয়।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো মুরাদ হাসানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ৯৪টি ভিডিও লিংক সরিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কর্তৃপক্ষ।
মুরাদ হাসানের এই পরিণতি যে অনিবার্য, এ বিষয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রায় সবাই একমত। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়ও মুরাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন না কেউ।
অশালীন ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ মুরাদ হাসান বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, মুরাদ হাসান হয়তো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। বিএনপির রাজনীতিতে অভদ্র কর্মকাণ্ড অনেক রয়েছে।
অডিও ফাঁসসহ নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া মুরাদ হাসান এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মাফ চাইলেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাফ চান।
মুরাদ নামের এক লোক, যার মাথায় ইয়া বড় এক টাক—‘মুরাদ টাকলা’ শব্দ দুটি শুনলে এমন ছবিই তো চোখের সামনে ভেসে ওঠে, নাকি? গত কয়েক বছরে অনলাইনে যেসব শব্দ খুব বেশি ব্যবহৃত হয়েছে, মুরাদ টাকলা তার মধ্যে অন্যতম।