মালয়েশিয়ায় প্রতি রিঙ্গিতের বিপরীতে বাংলাদেশের ২০ টাকা ৩৫ পয়সা দাম দিয়ে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী, বেসরকারি খাতের সিটি ও ন্যাশনাল ব্যাংকের মানি এক্সচেঞ্জগুলো।
দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) পাঠালে আগের চেয়ে বেশি হারে নগদ প্রণোদনা পাওয়া যাবে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে অর্থ পাঠালে এত দিন দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা পেতেন।
করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে প্রতি মাসে ১৪০ থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার পাঠাতেন। এক মাসে প্রবাসী আয় বেড়ে প্রায় ২৬০ কোটি ডলারে উঠে যায়।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিতে পড়া বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে বড় ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে। গত নভেম্বরে যে প্রবাসী আয় এসেছে, তা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
২০২১ সালে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হবে। তবে প্রবৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে আসবে।
গত মাসে এক আলোচনায় প্রশ্ন তুলেছিলাম প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের জাদু কি শেষ হয়ে যাচ্ছে? বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শক্তির জায়গা বৈদেশিক খাত। এতে কোনো ভাঙন ধরছে কি না, এখন সেই দুশ্চিন্তা আসছে।